মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

পানিশূন্যতা কমাতে ডাবের পানি নাকি ওআরএস—কোনটি বেশি কার্যকর?

শরতের আকাশে রোদের সাথে পাল্লা দিয়ে বর্ষার রেশ এখনো কাটেনি। কখনো অতিরিক্ত গরম, কখনো আকস্মিক বৃষ্টি—এর প্রভাবে সর্দি, জ্বর, পেট খারাপের মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। এসব অসুস্থতার সঙ্গে বাড়ছে শরীরে পানির ঘাটতির আশঙ্কাও।

শরীর থেকে ঘাম, বমি বা পাতলা পায়খানার মাধ্যমে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে গেলে দেখা দেয় ডিহাইড্রেশন। এমন পরিস্থিতিতে শুধু পানি খেলেই সমাধান হয় না, শরীরকে ফিরিয়ে দিতে হয় প্রয়োজনীয় লবণ ও খনিজ পদার্থও।

কোন পরিস্থিতিতে কী উপকারী?

ডাবের পানি:
স্বাভাবিক অবস্থায় বা অল্পমাত্রার পানিশূন্যতায় ডাবের পানি হতে পারে দারুণ সহায়ক। এতে থাকে প্রাকৃতিক সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম—যা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা করে। রোদে হাঁটাহাঁটি, শরীরচর্চার পর বা দীর্ঘক্ষণ উপবাসের ফলে শরীরে যে দুর্বলতা তৈরি হয়, তা কাটাতে ডাবের পানি উপকারী। এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত শক্তি জোগায়, আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে রক্ষা করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে।

ওআরএস:
অন্যদিকে, যদি কেউ বমি, ডায়রিয়া বা আন্ত্রিক রোগে আক্রান্ত হন, তখন সাধারণ পানীয় বা ডাবের পানি যথেষ্ট নয়। এই অবস্থায় শরীর থেকে ব্যাপক পরিমাণে পানি ও খনিজ বেরিয়ে যায়। তখন প্রয়োজন হয় ওআরএস-এর মতো সুনির্দিষ্ট মাত্রায় তৈরি ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন, যা দ্রুত শরীরের অভাব পূরণে সক্ষম।

কোনটা কতটা খাবেন?

ডাবের পানি: দিনে ১ গ্লাস ডাবের পানি স্বাভাবিকভাবে পান করা যেতে পারে। বাইরে বের হওয়ার দিন বা উপবাসের পর ২ গ্লাস খাওয়া উপকারী হলেও একসঙ্গে অনেকটা না খাওয়াই ভালো।

ওআরএস: যদি বমি বা পাতলা পায়খানার মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তবে অল্প অল্প করে দিনে ২০০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার ওআরএস খাওয়া যেতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে চামচে করে খাওয়ানো ভালো। প্রতি বারের বমি বা পায়খানার পরই কিছুটা ওআরএস খাওয়ানো উচিত, যেন শরীর ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারে।

পানিশূন্যতার মাত্রা ও কারণ অনুযায়ী সঠিক সমাধান বেছে নেওয়া জরুরি। হালকা দুর্বলতা বা গরমে ক্লান্তির জন্য ডাবের পানি যথেষ্ট হলেও, আন্ত্রিক বা বমির মতো পরিস্থিতিতে ওআরএস-ই হতে পারে প্রাণরক্ষার মতো কার্যকর।

আরো