এনএসইউতে জুলাই চার্টার নিয়ে বিশেষ বক্তৃতা অনুষ্ঠিত
বিডি মেইল ডেস্ক
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ইতিহাস ও দর্শন বিভাগ আজ “জুলাই চার্টার: তুলনামূলক দৃষ্টিকোণ থেকে রাজনৈতিক সংস্কার বিশ্লেষণ” শীর্ষক এক বিশেষ বক্তৃতা এনএসইউ সিন্ডিকেট হলে আয়োজন করে।
বিশেষ বক্তৃতার মূল বক্তা ছিলেন নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক আইডিইএ-এর মিশন এবং সংবিধান নির্মাণ কর্মসূচির প্রধান ডঃ সুমিত বিসারিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কোষধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবদুর রব খান। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মাহবুবুর রহমান অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং ডিন ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম।
ডঃ সুমিত বিসারিয়া একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন যেখানে তিনি বিশ্বব্যাপী সংবিধান কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা নিয়ে আলোচনা করেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক পরিবর্তনের চালিকাশক্তি হিসেবে তুলে ধরেন এবং জুলাই চার্টার তুলনামূলক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, “স্বাক্ষরকারী দলের সংখ্যা বিবেচনা করলে জুলাই চার্টার একটি অসাধারণ অর্জন। তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখনও অনেক কাজ বাকি” ।
অধ্যাপক আবদুর রব খান সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ” এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য আমি ইতিহাস ও দর্শন বিভাগকে এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের তাদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এই অধিবেশনটি সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং আমাদের বক্তা একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী বক্তৃতা প্রদান করেছিলেন” ।
ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম বলেন, “একটি সংবিধানের সাফল্য অত্যন্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়য়ের উপর নির্ভর করে। এটি কেবল একটি আইনি দলিল নয়, বরং এর চেয়েও অনেক বেশি। আমি আশা করি এই সংবিধান আমাদের সম্মানজনক মূল্যবোধগুলিকে বজায় রাখবে এবং আমাদের দেশে বাস্তব প্রক্রিয়া নিয়ে আসবে” ।
ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, “জুলাই চার্টার বাংলাদেশে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি, তবে এর কার্যকারিতা ভবিষ্যতে কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তার উপর নির্ভর করবে”।