বিএফটিআই ও আইটিডির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইটিডি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।
বিএফটিআই বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ এসকাপে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী এবং আইটিডির পক্ষে স্বাক্ষর করেন আইটিডির নির্বাহী পরিচালক মি. সুপাকিত চারনকুল।
অনুষ্ঠানে ঢাকার থাই দূতাবাসের ডিপুটি চিফ অফ মিশন মিজ্ সুপাওয়াদি এবং বিএফটিআই-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে উভয় পক্ষ বাণিজ্য ও উন্নয়ন খাতে শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছে। উভয় প্রতিষ্ঠানই যৌথভাবে গবেষণা, সেমিনার, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন এবং অ্যাকাডেমিক ও নীতিগত জ্ঞান বিনিময়ে উদ্যোগ নেবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী তার আশা প্রকাশ করেন, সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে। তিনি দুদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনকে যুক্ত করে দ্বি-পাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে একটি পর্যালোচনামূলক সেমিনার আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দুটিকে আহ্বান জানান।
বিএফটিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যকরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর দেশের বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই সহযোগিতা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। স্মারকটির মাধ্যমে উভয় পক্ষ জ্ঞান বিনিময়, যৌথ গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে যা শুধু বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড নয়, পুরো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্যও উপকার বয়ে আনবে।
আইটিডির নির্বাহী পরিচালক সুপাকিত চারনকুল ভবিষ্যতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং নীতি গবেষণার ক্ষেত্রে আরও নিবিড় সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, উভয় প্রতিষ্ঠানই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাণিজ্যকে অন্যতম নিয়ামক ভূমিকায় বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন– দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সেলর সারোয়ার আহমেদ সালেহীন এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. সামাউন খালিদ।
উল্লেখ্য, বিএফটিআই, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি গবেষণাভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক, যা বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও সক্ষম করে তুলতে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও নীতিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে।
অন্যদিকে আইটিডি থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণাভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক– যা জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা-এর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।