দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর জ্ঞান-উদ্ভাবন ও নীতি-কূটনীতি: ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী
পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সায়েন্সেস (IAS)–এ আজ শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী IAS–SANPA International Conference 2025। সম্মেলনের শিরোনাম— “Local Realities and Regional Futures: Transforming Public Administration & Management in South Asia”। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় রিয়াজউদ্দিন অডিটোরিয়ামে। সভাপতিত্ব করেন ড. সিদরা ইরফান।
স্বাগত ভাষণ দেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রফেসর ড. কাশিফ রাঠোর। এরপর বক্তব্য রাখেন SANPA–এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আখলাকে হক। সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য দেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাকিস্তানের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রফেসর আহসান ইকবাল বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক নৈকট্যকে কৌশলগত অংশীদারত্বে রূপান্তরের এখনই উপযুক্ত সময়।” তিনি উন্নয়ন নীতি, প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জ্ঞানউদ্ভাবন, নীতি-কূটনীতি এবং সামাজিক আস্থা পুনর্গঠন।” প্রশাসনকে মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়বোধ ও আধুনিক জ্ঞানব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে তোলার তাগিদ দেন তিনি।
প্রফেসর আনিসুজ্জামান আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নে গবেষণা–নির্ভর সিদ্ধান্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি–সমন্বিত নীতিনির্ধারণ অপরিহার্য। তরুণ প্রজন্মকে পাবলিক ইনোভেশন ল্যাব ও জ্ঞান অংশীদারত্বে যুক্ত করার পাশাপাশি বাংলাদেশ–পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়া নীতি–কূটনীতি প্ল্যাটফর্ম শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ, গবেষক ও আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীরা। সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ প্রশাসনবিদ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নিচ্ছেন।