হানিমুনে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে শবনম ফারিয়া, ভক্তদের মাঝে আলোচনার ঝড়!
জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া আবারও সংবাদ শিরোনামে—এইবার তার নতুন জীবন শুরু করার রোমাঞ্চকর সফর নিয়ে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো ঘর বাঁধেন তিনি। ঘরোয়া আয়োজনে সম্পন্ন হয় বিবাহ, আর এখন সেই নতুন জীবনের শুরুতে সময় কাটাচ্ছেন প্রিয়জনের সঙ্গে বিদেশের মনোরম পরিবেশে।
বিয়ের পরপরই দেশের বাইরে দেখা যায় শবনম ফারিয়াকে। ৭ অক্টোবর তিনি শ্রীলঙ্কা থেকে ছবি শেয়ার করেন সামাজিক মাধ্যমে। কালো টি-শার্ট ও শর্টসে তার সেই ভ্রমণ লুক যেমন নজর কাড়ে, তেমনি কিছু সমালোচনাও ডেকে আনে নেটিজেনদের মাঝে।
তবে এসব সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে, বরাবরের মতোই নিজের আনন্দের মুহূর্তগুলো ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন তিনি। শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের পরে গন্তব্য ছিল মালদ্বীপ। সেখান থেকেও এসেছে একের পর এক ছবির ঝলক, যেখানে তাকে দেখা গেছে মালদ্বীপের বিখ্যাত ‘আদারান হুধুরান ফুশি’ এবং ‘আদারান ওশান ভিলাস’ রিসোর্টে ছুটি উপভোগ করতে।
এক ছবিতে তাকে দেখা যায় কাঠের জেটির উপর হলুদ পোশাকে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে, আরেকটিতে সমুদ্রের ধারে বসে, চোখে সানগ্লাস, গায়ে কালো টি-শার্ট পরে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। এমনকি ডলফিন দেখার এক অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছেন তিনি তার ফলোয়ারদের সঙ্গে।
এইসব পোস্ট সামনে আসতেই শুরু হয় জল্পনা—এ কি তবে তাদের হানিমুন সফর? সন্দেহের রেশ আরও ঘনীভূত হয় যখন স্বামী তানজিব তৈয়ব একটি ছবির নিচে মন্তব্য করেন, “আমার ক্রেডিট কই বউ?” উত্তরে ফারিয়া লেখেন, “তুমি কত ক্রেডিট চাও? আমার জীবনটাকে একটু পরীদের জগতের মতো করে তোলার জন্য, না আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ বানানোর জন্য?”
এই মধুর বিনিময়ে সিক্ত হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যম, ভক্তরা শুভকামনায় ভরিয়ে দেন নবদম্পতিকে।
প্রসঙ্গত, প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রথম দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন শবনম ফারিয়া। সে অভিজ্ঞতা তাকে একসময় বিয়েকে ঘিরে সংশয়ে ফেলেছিল। তবে সময়ের সঙ্গে, আর নতুন সঙ্গীর ভালোবাসায়, সে সংশয়ের জায়গা এখন ভরপুর আনন্দ ও আশার গল্পে পরিণত হয়েছে।
শবনম ফারিয়ার স্বামী তানজিব তৈয়ব, রাজশাহীর সন্তান। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস থেকে ফিনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে দেশের একটি নামকরা বেসরকারি ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দুজনেই এখন এক নতুন যাত্রায়, আর ভক্তরাও অপেক্ষায়—এই জুটির জীবনের আরও রঙিন অধ্যায়ের জন্য।