মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:১১ পূর্বাহ্ণ

ফেসবুক এখন নজর রাখছে ফোনের গ্যালারির ছবিতেও

আপনার স্মার্টফোনে থাকা, কিন্তু এখনো ফেসবুকে পোস্ট না করা ছবিগুলোও এখন নজরে রাখবে ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যবহারকারীদের জন্য ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে এই নতুন ফিচারটি।

ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ইচ্ছা করলে ফোনের গ্যালারিতে থাকা ছবিগুলো বিশ্লেষণের জন্য ফেসবুককে অনুমতি দিতে পারবেন। এরপর ফেসবুক সেই ছবির ওপর ভিত্তি করে কোলাজ তৈরির ধারণা, জন্মদিন বা স্মৃতিচারণমূলক থিম, এমনকি নতুন ডিজাইন বা রিল সাজেশনও পাঠাবে।

কীভাবে কাজ করে এই ফিচার

প্রথমে ব্যবহারকারীর সামনে একটি অনুমতি বার্তা আসবে, যেখানে লেখা থাকবে—“আপনার গ্যালারির ছবিগুলো থেকে সৃজনশীল প্রস্তাব পেতে ফেসবুককে ক্লাউড প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করতে দিন।”
যদি ব্যবহারকারী সম্মতি দেন, তাহলে ফোনের ছবিগুলো নিয়মিতভাবে মেটার ক্লাউড সার্ভারে আপলোড হবে। সেখানে AI সিস্টেম ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী পরামর্শ দেবে বা ছবির বিভিন্ন রূপ তৈরি করবে।

মেটার বক্তব্য

মেটা জানিয়েছে, ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া কোনো ছবিই বিজ্ঞাপন বা লক্ষ্যভিত্তিক প্রচারে ব্যবহার করা হবে না। তবে ব্যবহারকারী যদি সেই ছবি সম্পাদনা করে বা ফেসবুকে পোস্ট করেন, তাহলে সেই তথ্য মেটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের কাজে লাগতে পারে।

তাদের নীতিমালায় আরও বলা আছে, অনুমতি দিলে ছবিতে থাকা মুখ, মানুষ, বস্তুর উপস্থিতি, এমনকি সময় ও অবস্থান সম্পর্কিত তথ্যও বিশ্লেষণ করা হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি সংক্ষেপ করা, পরিবর্তন করা বা নতুন ছবি তৈরি করতে পারবে।

অর্থাৎ আপনি ছবি ফেসবুকে না দিলেও, মেটার সিস্টেম আপনার জীবনধারা, সম্পর্ক বা অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রক্রিয়ায় মেটার হাতে ব্যবহারকারীদের আচরণ, পছন্দ ও দৈনন্দিন অভ্যাস সম্পর্কিত বিপুল পরিমাণ তথ্য জমা হবে—যা ভবিষ্যতে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

এর আগে মেটা জানিয়েছিল, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত পাবলিক পোস্ট, মন্তব্য ও ছবিগুলো তাদের AI মডেল প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবহারকারীরা ২০২৫ সালের ২৭ মে পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারের সুযোগ পাচ্ছেন।

আরো